পঞ্চাশের পর সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। দেহ ও মনের সুস্থতা বজায় রাখতে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কিছু কার্যক্রম মেনে চলা জরুরি। প্রথমত, নিয়মিত টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য। যাদের হাঁপানি বা হৃদরোগ রয়েছে, তাদের নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক টিকা নেওয়া উচিত। এছাড়া, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বয়স্কদের জন্য জরুরি, যেমন রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল পরীক্ষা, এবং ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্তকরণের জন্য ভায়া টেস্ট এবং প্রোস্টেট পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য, বিশেষ করে টাটকা সবজি, ফলমূল এবং বাদাম গ্রহণে শরীরের বয়সের প্রভাব কমে। লন্ডন কিংস কলেজের গবেষক ডা. মেগান রসি পরামর্শ দিয়েছেন যে, বিভিন্ন প্রকারের সবজি ও ফল খাওয়া উচিত, বিশেষ করে শীতকালে, যা শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়া, বয়স বাড়লে শরীরচর্চা কমে যায়, তাই হাঁটা, সাইকেল চালানো, যোগব্যায়াম এবং অন্যান্য মৃদু ব্যায়াম করা উচিত। এতে পেশির শক্তি বজায় থাকে এবং হাড় ক্ষয় কমে।
বয়সের সাথে সাথে একাকিত্ব এবং সামাজিকতার অভাবেও স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই বয়স্কদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, অথবা ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা মানসিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সহায়ক। এছাড়া, পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যও বজায় রাখে।